কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? তা কি আপনি জানেন? তাহলে আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? কক্সবাজার হল বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? তা জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটারঃ ভূমিকা

আমরা অনেকেই এই সম্পর্কে জানি যে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত হল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে গুগোল এ অনেক সার্চ হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যাই এছাড়া দেশের বাইরে থেকেও মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। তাই আজকে আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার - কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রস্থ কত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর বৈশিষ্ট্য হলো সম্পূর্ণ সমুদ্র সৈকত বালুকাময় কোন ধরনের কাদার অস্তিত্ব এখানে পাওয়া যায় না। এটি হলো সমুদ্র সৈকতের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে অন্যতম একটি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হল একটি মায়াবী রুপ ময়ী সমুদ্র সৈকত যা মানুষকে তার সৌন্দর্য দিয়ে আকর্ষণ করে। সময়ে সময়ে সমুদ্র সৈকতের চেহারা পরিবর্তন হয়।

আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় দেখুন

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য হল ১৫০ কিলোমিটার বা ৯০ মেইল। এটি হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। আশাকরি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার এ সম্পর্কে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম কি

কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স থেকে। যিনি একজন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার ছিলেন। কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন ওয়ারেন্ট হোস্টিং। ক্যাপ্টেন কোয়াকস আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরের পুরাতন সংঘাত মেটানোর চেষ্টা করেন।

এই সমস্যার সমাধান করার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং নাম দেওয়া হয় কোয়াকস সাহেবের বাজার। ১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এভাবে এই জায়গার নাম ধীরে ধীরে কক্সবাজার ও হয়ে যায়।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর গভীরতা কত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভরা জোয়ার ২০০ মিটার আর নিম্ন জোয়ারে ৪০০ মিটার প্রশস্থ। যখন সমুদ্রসৈকতে ভাটা দেখা দেয় তখন এখানে চোরাবালি জেগে ওঠে এবং একটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হলো পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের গভীরতা প্রায় ৫০০০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গেলে আপনি মুগ্ধ হবেন। বিশ্বের সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকতের নাম হল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এটি বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অনেকগুলো অংশ রয়েছে যেগুলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রাণ তাই এখন আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য এই সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১৮ টি উপায়

লাবনী পয়েন্টঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম বললে প্রথমে যে স্থানটি চোখে ভাসে তাহলে লাবনী পয়েন্ট পুরাতন সি বিচ হিসেবে পরিচিত। লাবনী বিচ কক্সবাজার এর প্রধান সমুদ্র সৈকত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বিচার আশেপাশে ছোট বড় অনেক দোকান যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এছাড়া এখানে রয়েছে ঝিনুক মার্কেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থানটি।

হিমছড়িঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে হিমছড়িতে সমুদ্র সৈকত দেখতে সুন্দর এবং বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে নিয়ে আসে। প্রচুর পরিমাণে মানুষ প্রতিবছর এখানে পিকনিক করতে যাই।

ইনানী সৈকতঃ কক্সবাজার জেলার মধ্যে উখিয়া উপজেলায় ইনানী সৈকত অবস্থিত। এটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার লম্বা। কক্সবাজার এর মূল শহর থেকে ইনানী সৈকত প্রায় ২৮ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত। ইনানী সৈকতের মূল আকর্ষণ হলো এখানে রয়েছে সবুজ ও কালো বর্ণের প্রবাল পাথর।

কলাতলী পয়েন্টঃ কক্সবাজারের অন্যতম আরেকটি আকর্ষণীয় জায়গা হল কলাতলী পয়েন্ট। কক্সবাজারের মধ্যে অবস্থিত কলাতলী পয়েন্ট। এখানে প্রচুর পরিমাণে মানুষ গোসল করতে আসেন এখানে রয়েছে উন্নত মানের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট গুলো সকল ধরনের পর্যটন সুবিধা এখানে পাওয়া যায়।

প্রাচীন ঐতিহ্যঃ যারা কক্সবাজার ভ্রমণ করতে আসে তারা কক্সবাজারের প্রাচীন ঐতিহ্য ঘুরে দেখেন। এখানে প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আজগবি মসজিদ। এছাড়া আরো অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বর্তমান অবস্থা

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার এই সম্পর্কে আমরা জেনেছি। বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষ জানে যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হলো বাংলাদেশসহ বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত। এবং এই সৈকতের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার মধ্যে এখানে কোন ধরনের কাদামাটি পাওয়া যাবে না। সমুদ্র সৈকত এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে যা আমরা ইতিমধ্যে উপর আলোচনা করেছি। এগুলো সবগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

বর্তমানে আপনি যদি কক্সবাজার ঘুরতে যান তাহলে লাবনী পয়েন্ট এবং কলাতলী পয়েন্ট গ্রহণ করতে পারেন এখানে কোন ধরনের সমস্যায় পড়বেন না। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এখানে রয়েছে বড় বড় হোটেল রেস্টুরেন্ট পার্ক ইত্যাদি। ধীরে ধীরে কক্সবাজার আরো বেশি উন্নত হচ্ছে। কারণ প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে পর্যটন কক্সবাজার যাই।

এছাড়া বিদেশ থেকেও বিদেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করতে আসে যেহেতু বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত হলো বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এছাড়া হিমছড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় একটি স্থান এখানে আপনি কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা পাবেন না প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হিমছড়ি। প্রতিবছর এখানে মানুষ পিকনিক করতে যায়।

কক্সবাজার যাওয়ার উপযুক্ত সময়

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত। এর অনেক গুলো দেখার জায়গা রয়েছে কিন্তু কয়েকদিনে কখনো সমুদ্র সৈকত পুরোটা দেখার সম্ভব নয়। অনেকেই কক্সবাজার যাওয়ার উপযুক্ত সময় জানতে চাই। আপনি যদি কক্সবাজার যাওয়ার উপযুক্ত সময় জানতে চান তাহলে কক্সবাজার যাওয়ার উপযুক্ত সময় হল অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।

আরো পড়ুনঃ ছাত্রদের টাকা উপার্জন করার ২০ টি কার্যকরী উপায়

কারণ এই সময়ে বৃষ্টি কম হয় এবং এই সময় গরম কম থাকে পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকে। এই সময় কে পিক সিজন বলা হয়। আপনি যদি এই সময়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চান তাহলে আগে থেকেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন কারণ এই সময় অনেক মানুষ যাই হোটেল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন।

উপসংহারঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার

প্রিয় বন্ধুরা প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার, এর সাথে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য আরো অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার কাঙ্খিত ফলাফল জানতে পেরেছেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬ 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post